Monday, October 29, 2018

রোগমুক্তি

মস্ত বাড়ি, ভর্তি লোকে , যৌথ পরিবার
তিনতলাতে একলা বুড়ি, কেউ নিল না ভার
দিনে রাতে দুবেলাতে খাবার দিতে আসে
ভালোবেসে ডাকলে পরেও কেউ বসে না পাশে |

কাজের মাসি দেখতে পেলে , খাবার দিতে এসে
মুখ থুবড়ে লুটোয় বুড়ি এলোমেলো বেশে
খবর যেতেই গোটা বাড়ির সবাই হুলুস্থূল
কী যে হলো বুড়ির, কেউ পায় না ভেবে কূল
বড় ছেলে দলিল খোঁজে, ডেকে আনে মোক্তার
পূজোর মাঝে একী বিপদ, ছুটে এলেন ডাক্তার
নাড়ি টিপে বললে যে সে, চোখে মোটা কাঁচ
আয়ু যে তাঁর ফুরিয়ে এলো, ঠিক করেছি আঁচ |

বাড়ে আদর, যত্ন সেবা, ওষুধ নিয়ম মতো
বুড়ির জন্য ভালবাসা উপচে পরে কতো
বুড়ি এবার বায়না করে পাড়ার পুজোয় যাবার
দেখবে চেখে অল্প করে, হরেক রকম খাবার
আটপৌরে শাড়ি পড়ে, চলল পুজোয় পাড়ায়
আহ্লাদে "চার কুড়ি" তখন কুড়ির ভিড়ে দাঁড়ায় !

ভিড়ের মাঝে ভিড় ঠেলে সে খেল পূজোর ভোগ
বললে বুড়ি - "এবার আমার সেরে গেছে রোগ |"

মনে মনে ভাবলে - পুজোয় রাখবে আমায় বন্দী !
আমি মানুষ সরল হলেও, কেমন ছিল ফন্দি !

Monday, October 8, 2018

সহোদর

শোনো, একটা গল্প বলি,  তারা দু'ভাই-বোন
আকার আছে, প্রকার আছে, জলের মতো মন |

বিপদেরই গন্ধ পেলে, মিলবে তাদের দেখা
কখনো হাত ধরে, কখনও বা একা |

ভাঁড়ার ঘরের শূন্যতাতেও সদাই প্রস্তুত
ভোজবাড়িতে শুরুর পাতে তারাই দেবদূত

দশাবতার বললে, তাদের বলা হবে কম
যেমনভাবে চাইবে পেতে, রূপ নেবে মোক্ষম

যে পোশাকে সাজিয়ে দেবে হবে মানানসই
তাদের বাড়ি যেথায়, সেথা, সূর্যের আলো কই ?

তবু তাদের রূপের ছটায় আর সকলে ম্লান
মন্দ লোকের কটু কথায়, বন্ধ তাদের কান |

কপাল যদি পোড়ে তবু কী এসে যায় তাতে
ভালোবেসে টানবে মানুষ, খাবে একই পাতে !

যুগে যুগে তাদের পেয়ে. মানুষ বড়ই সুখী
ভাইয়ের নামটি যতি  আর বোনটি চন্দ্রমুখী ||