Tuesday, October 6, 2015

আনমনা

সেদিন যখন বিকেল বেড়ে আঁধার গেল ছেয়ে
আমি তখন গেলেম আমার নীল সরণী বেয়ে
সে পথ গেছে কোথায় সুদূর নেই যে তাহার শেষ
দুপাশ তারই যায় না দেখা শুকনো পাতার দেশ
অন্ধ হয়ে চলছি ছুটে শুনছি কারই সুর
বাড়ছে আঁধার বাড়ছে সে টান সুর যে সুমধুর
গন্ধ আসে মন মাতানো কেমন যেন চেনা
ঠিক চিনেছি এর সাথে তো আমার লেনাদেনা
বিধঁলে কাঁটা পায়ের তলে ক্লান্তি এসে ধরে
গন্ধ হলো তীব্র, সে সুর থামল পথের পরে
নরম শীতল শান্ত প্রলেপ নামলে এসে শিরে
ফিরে এলো রং-এর খাতা আঁধার গেল সরে |

চিঠি-কান্ড

সরকারী চাকুরি, পদবীও তাই 
ছেলে তার বড় ভালো, কোনো জ্বালা নাই 
পড়াশোনা করে ভালো, বেয়াদবি নেই
ভর্তি হয়েছে সে নরেন্দ্রপুরেতেই 
মাসে মাসে দুটো দিনে, দেখার সময় 
তাতেও মায়ের মনে দ্বিধা রয়ে যায় 
ছেলে যেন পড়াশোনা করে ঠিকমতো
চিন্তায় কাটে দিন এখনো সে ছোট
হপ্তায় খান দুই চিঠি দেওয়া চাই
একখান বাবাকে, একখান মা'য় 
চলছিল বেশ ভালো আনন্দে থাকা 
শয়তানি বুদ্ধিতে মাথা তার ঢাকা 
ভিসিটিং-এ একদিন খেল বেশ বকা 
দুষ্টুমি কী এক করেছে যে খোকা 
সোমবারে বসে বসে লিখল সে পত্র
হাসপাতালেতে সে গেড়েছে যে ছত্র 
বাড়ি বয়ে এলো চিঠি শুক্কুরবারে 
বাবার কপালে চোখ চিঠিখানা পড়ে 
ভবনের মহারাজে করলেন ফোন
জিঘালেন ছেলে তার আছে সে কেমন 
মহারাজ অবাক হয়ে - "কিছু হয়নি তো তার ?"
দিব্যি আছে সে ছেলে হুল্লোড়ে মাতোয়ার 
মনে মনে বেশ রেগে ফোন রাখলেন
"ঠিক আছে তো ছেলে আমার?",মা যে শুধোলেন 
বললেন বাবা - ছেলে হয়েছে কি গুণী !
কি লিখেছে চিঠিতে সে তাই আগে শুনি
ছেলে তার শিখেছে যে শয়তানি কথা 
লিখেছিল চিঠিতে কিডনিতে ব্যথা |
_________________________________________________